শিশুর ঘন ঘন জ্বর, লক্ষণ, ও করনীয়

  • Published: 07-Apr-2023
  • Posted: Dr Md Omar Faruk
  • Category: শিশুচিকিৎসা

আমাদের দেশে অনেক শিশু আছে যাদের জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকে । তাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যঅন্য শিশুদের তুলনায় অনেক কম থাকে । এবং তারা অল্প ঠান্ডা বা গরম পরিবেশেই অসুস্থ হয়ে পড়ে । আমাদের দেশে শিশুদের সবথেকে যে রোগটি সাধারনত সবথেকে বেশি হয়ে থাকে তা হলো জ্বর ও ঠান্ডা । 
কিন্তু কেন ? আজ আমি আপনাদের সাথে ছোট ছেলে -মেয়েদের ঘন ঘন জ্বর ও ঠান্ডা কেন হয় ,ও এর সমাধান কি এ নিয়ে আলোচনা করবো ?


 শিশুর ঘন ঘন জ্বরঃ

সাধারণত শিশুরা ভাইরাস বা অন্য কোনো সংক্রমণ হলে জ্বরে ভোগে। জ্বর দেহের একটি প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া। জীবাণু অনুপ্রবেশের পর শরীর তার বিরুদ্ধে লড়াই গড়ে তোলে জ্বরের মাধ্যমে। তবে এ-ও সত্যি, ঘন ঘন জ্বরে পড়া ভালো নয়। এসব ক্ষেত্রে শিশু অন্য কোনো সমস্যায় আক্রান্ত কি না, জানা দরকার।


শিশুদের জ্বর হওয়ার কারণঃ 

১।  যেসব শিশু বারবার ঠান্ডা ও সর্দি-কাশিতে ভোগে, তারা বেশির ভাগ কান পাকা ও সাইনাস ইনফেকশনে আক্রান্ত হয় বারবার।


২। কিছু রোগ বারবার আক্রমণ করতে পারে বা জ্বর দীর্ঘমেয়াদি করে তুলতে পারে, যেমন-যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বর।


৩।  জন্মগত মূত্রতন্ত্রের ত্রুটি থাকলে বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়ে জ্বর আসতে পারে।


৪।  বারবার জ্বরে ভোগা শিশুর জ্বর যদি একদম সেরে না যায়, তবে জটিল কোনো রোগ আছে কি না, যেমন-কিডনি, ক্যানসার, তা দেখতে হবে।


জ্বর হলে কি করবেনঃ

১।  অনেক সময় বারবার জ্বর আসার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। ভাইরাসজনিত বা সর্দি জ্বরে শিশু  শরীরে ব্যথা অনুভব করে। অস্বস্তিতে পড়ে, জ্বরের সঙ্গে কাঁপুনি থাকে। প্যারাসিটামল খেলে সেরে যায়।


২। জ্বর হলে শিশুকে বেশি বিশ্রাম দিতে হবে, খেলাধুলা বা স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। বারবার প্রচুর পানীয় ও তরল খাবার দিতে হবে। মুখে খাবার স্যালাইন বা পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি উত্তম, জুস বা ড্রিংকস নয়।


৩।  শিশুকে কুসুম কুসুম গরম  পানিতে গোসল করিয়ে নিন। হালকা পাতলা কাপড় পরান। সাধারণ সংক্রমিত জ্বর এমনিতেই সেরে যাবে। কখনো অ্যান্টিবায়োটিক দরকার হলে তার পূর্ণ ডোজ যথাসময়ে  চিকিৎসকের পরামর্শে সম্পন্ন করুন, নয়তো আবার জ্বর আসতে পারে।


৪।সাধারণত শিশুদের জ্বর দুদিনের বেশি স্থায়ী হয় না। জ্বর বেশি দিন স্থায়ী হলে বা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট অতিক্রম করলে শিশু রোগ বিষেশজ্ঞ  চিকিৎসক দেখানো উচিত।